সোমবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মধ্যরাত। প্রথমে মহাখালীর সাততলা বস্তি, পরে মোহাম্মদপুরের জহুরী মহল্লায় আগুনের রেশ না কাটতেই ছাই হলো মিরপুরের বাউনিয়া বাঁধ পুকুরপার বস্তি। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নিঃস্ব শত শত পরিবার।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার আকলিমা ঢাকায় আসেন মুক্তিযুদ্ধের সময়। ৬৫ বছরের এই বৃদ্ধা তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই। আগুনে নিমিষেই পুড়ে ছাই দীর্ঘদিনের ঠিকানা।
একজন বৃদ্ধা কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘আমার হাত আর পা ছাড়া আর কিছু নেই। আমার দুনিয়ায় কিছু নেই।’
একজন মহিলা বলেন, ‘প্রায় তিন লাখ টাকার মত ব্যাটারি বাদ হয়েছে। এখানে একটা গাড়ির যা যা মাল লাগতো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
কয়েক লাখ টাকার সরঞ্জামসহ রিকশা তৈরির দোকান পুড়েছে পপি বেগমের। আনোয়ার হারিয়েছেন শত শত চেয়ার, টেবিল, হাড়ি-পাতিলসহ ডেকোরেটরের দোকান সব মালামাল। এছাড়া বসতঘর হারানো নিম্ন আয়ের পরিবারের সংখ্যাও কম নয়।
একজন বলেন, ‘সারাজীবনের যা সঞ্চয় ছিল সেগুলো সব এখানে পুড়ে ভস্ব হয়ে গেছে।’
অন্য আরেকজন বলেন, ‘সরকার যদি যায় তাহলে আমরা একটু খেতে পারব আর যদি না চায় তাহলে এই পোড়া থেকে যা পাব সেগুলো বেচে আমাদের খেতে হবে।’
ঘরহারা নিঃস্ব মানুষগুলো তাকিয়ে আছেন সরকারি সাহায্যের দিকে।
Leave a Reply