ইয়েমেনের এডেন বিমানবন্দরে বুধবারের বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন।
- Advertisement -
সৌদি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি সমর্থিত নতুন সরকারের সদস্যদের বহনকারী একটি বিমান অবতরণের সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ইয়েমেনের নবগঠিত সরকারের সদস্যরা একটি বিমানে করে বুধবার সৌদি আরব থেকে এডেন এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় এখনও কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। হামলায় সরকারের কোনও মন্ত্রী হতাহত হয়নি।
ইয়েমেনে আগ্রাসন চালানো সৌদি সামরিক জোট এ হামলার জন্য শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে। ইরান সমর্থিত এ বিদ্রোহীরাই বর্তমানে ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ দেশটির একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
সোমালি গার্ডিয়ান নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের বহনকারী বিমানটি পৌঁছানোর পরই তিনটি বড় বিস্ফোরণ ও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের আগে এয়ারপোর্টে ড্রোন ওড়ার শব্দ শোনা যায়।
বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির পর প্রধানমন্ত্রী মঈন আব্দুলমালিকসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিরাপদে এডেন শহরে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং বিভিন্ন সৌদি সংবাদমাধ্যম।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথির ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি-আমিরাতের সামরিক জোট। স্কুল, বাজার, হাসপাতাল, জানাজার নামাজসহ বিভিন্ন স্থানে সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত হয় লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ। আহত হয় আরও অনেকে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় ইয়েমেন।
Leave a Reply