বাড়ির কাজের মেয়ের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়া প্রেম ও অবাধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কারণে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন সাবিকুন্নাহার রূপা (৩২) নামের এক নারী আইনজীবী।
মাগুরা শহরতলীর পারনান্দুয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত নারী আইনজীবী ঐ গ্রামের তমাল মাহমুদের স্ত্রী।
এদিকে নিহত নারী আইনজীবীর অভিযুক্ত স্বামী তমাল নিজের বাড়ির কাজের মেয়েকে আগেই বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে বিয়ের পক্ষে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অপরদিকে অভিযুক্ত কাজের মহিলা স্বামী পরিত্যাক্তা বলে জানা গেছে।
রূপার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে রূপার সঙ্গে মাগুরা শহরতলীর পারনান্দুয়ালী গ্রামের তমাল মাহমুদের বিয়ে হয়। আইনজীবী হিসেবে সনদ প্রাপ্তির পরই এ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিলের চেম্বারে জুনিয়র হিসেবে কাজ করতেন রূপা। এ সুযোগে বাড়ির কাজের মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বামী তমাল। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে কাজের ঐ মহিলা। তখন বিষয়টি রূপার নজরে আসে।
এ ব্যাপারে রূপা তার পরিবারে নিকট জানালে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থেকে রোববার তারা তমালের বাড়িতে আসেন। রাতে স্ত্রী রূপা তার স্বামীর নিকট অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জবাব চাইলে তমাল তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে সকালেই বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে।
এরপর রোববার রাতেই স্বামীর ওপর অভিমান করে ঘরে থাকা কিটনাশক পান করে এই নারী আইনজীবী। বিষয়টি জানতে পেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রূপাকে মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে সোমবার ভোর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রূপাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১১টায় মারা যান রূপা। এতে পুরো আদালত চত্বরে নেমে আসে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে নিহত আনইনজীবী রূপার অভিযুক্ত স্বামী তমাল মাহমুদ দাবি করেন, তিনি তার বাসার কাজের মহিলাকে আগেই ‘বিয়ে’ করেছেন। তবে বিয়ের পক্ষে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। নিহত রূপা গোপালগঞ্জ জেলার পূর্ব টুঙ্গীপাড়ার নবীর হোসেনের মেয়ে।
রূপার সহকর্মী আইনজীবীরা গণমাধ্যমকে বলেন, রূপার মত সদা হাস্যজ্জল ও সহজ সরল মনের অধিকারী মেয়ের পক্ষে কিটনাশক পান করার ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে আদালত পাড়ায়।
Leave a Reply