হাইকোর্ট বলেছে, ফলো দ্যা মানি নীতি অনুসরণ করলে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত কখনোই শেষ করতে পারবে না দুদক। ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে যদি কেউ সিঙ্গাপুরে গিয়ে ক্যাসিনো খেলে, চাইনিজ খায় তাহলে এই অর্থের খোজ কিভাবে পাবেন। আমাদের মনে হচ্ছে এই নীতি অনুসরণ করে দুদক ভুলপথে পরিচালিত হচ্ছে।
বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুদক কৌসুলির উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেন। দুদক কৌসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, কমিশনে নতুন চেয়ারম্যান যোগ দিয়েছেন। তিনি দ্রুত তদন্ত শেষ করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। হাইকোর্ট বলেন, দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারলে ভালো। জনগণ আপনাদের সাধুবাদ জানাবে। এরপরই হাইকোর্ট তদন্তে বিলম্বের জন্য বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীকে এক মামলায় জামিন মঞ্জুর করে।
এরপরই পিকে হালদার সংক্রান্ত একটি মামলায় শুনানির জন্য সময় চান খুরশীদ আলম খান। তিনি আদালতে বলেন, মাই লর্ড আপিল বিভাগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। সেখানে আমাকে শুনানি করতে হবে। আমাকে না শুনে এই পিকে হালদারের মামলায় আদেশ না দেয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। কারণ পিকে হালদারের মামলা নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ১৩ ঘণ্টা পর চিঠি পাঠিয়ে পিকে হালদারকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর এখন বলছেন হিমশিম খাচ্ছেন।
হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে জড়িত পিকে হালদার আছেন কানাডায়। ঐ দেশে যাওয়ার আগে সে যাতে কোনভাবেই বাংলাদেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলো দুদক। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হাতে ঐ চিঠি পৌঁছানোর প্রায় এক ঘণ্টা পূর্বেই ২০১৯ সালের ২৩ অক্টৈাবর যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশত্যাগ করেন পিকে হালদার। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এমন অতি গোপনীয় চিঠির বিষয়বস্তু পিকে হালদার কিভাবে জ্ঞাত হল বা তাকে কে অবহিত করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
Leave a Reply